করোনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা ও টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে করা মামলার বিচার শুরুর পর এবার তথ্য গোপন করে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি ও ব্যবহার করার মামলা হয়েছে ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে।
সোমবার (৩১ আগস্ট) প্রথম এনআইডির তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি করায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের করা মামলার অভিযোগ গ্রহণ করেছেন আদালত।
আগামী ১ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী মামলার অভিযোগ গ্রহণ করেন।
৩০ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলাটি করে ইসি। ২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ধারায় মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার জরিমানা এবং ১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে একই শাস্তির বিধান রয়েছে।
ডা. সাবরিনা প্রথম এনআইডির নাম ‘সাবরীনা শারমিন হোসেন’। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রে সাবরিনার জন্মতারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর।
প্রথম এনআইডিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন ‘আর. এইচ. হক’। দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। একটি এনআইডিতে সাবরিনার বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হোসেন ও মায়ের নাম কিশোয়ার জেসমীন। অপরটিতে বাবার নাম বলা হয়েছে সৈয়দ মুশাররফ হুসেন ও মায়ের নাম জেসমিন হুসেন ।
ডা. সাবরিনার দুই এনআইডিতে ২টি ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। একটিতে মোহাম্মদপুরের পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটির ঠিকানা, অন্যটিতে বাড্ডা এলাকার প্রগতি সরণির আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের ঠিকানা।
করোনা পরীক্ষার নামে প্রতারণার মামলায় ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন।
No comments:
Post a Comment