দিন যতই যাচ্ছে, দেশের বাইরে আবজালের সম্পদের তথ্যও পাচ্ছে দুদক।
বিদেশ বা অস্ট্রেলিয়া নয়- গ্রেপ্তার এড়াতে এক বছরের বেশী সময় ফরিদপুরের দুর্গম চরে আত্মগোপনে ছিলেন হাজার কোটি টাকার মালিক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত কেরানি আবজাল হোসেন। তার দাবি গ্রেপ্তার এড়াতেই তিনি বিভ্রান্ত করার এই কৌশল নেন। ইমিগ্রশন পুলিশ দুদককে জানায়- আবজালের বিদেশ যাওয়ার তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে পাসপোর্ট জালিয়াতি করে তিনি বিদেশে গিয়ে দেশে ফিরেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে গোপনে ডিবিসি নিউজের ক্যামেরায় ধরা পড়েন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত কেরানি আবজাল হোসেন। তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর পরই স্ত্রী রুবিনাসহ পালিয়ে যান তিনি। এরপর তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ আর অর্থপাচারের অভিযোগে দুটি মামলা করে দুদক।
এরমধ্যে চাউর হয় আবজাল অষ্ট্রেলিয়ায় পালিয়েছেন। বুধবার হঠাৎ আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন। একবছরের তার চেহারায় বিস্তর পরিবর্তন আসে। চিনতে কষ্ট হওয়ায় তার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখতে চান আদালত।
তা যাচাই-বাছাই করে আদালত আবজালকে শনাক্ত করেন। এরপর তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায় আদালত।
কারাগারে যাওয়ার আগে আদালতে আবজাল দাবি করেন, ফরিদপুরে পদ্মার চরে গ্রেপ্তারের ভয়ে তিনি দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিলেন। আসামির আইনজীবীও দাবি করছেন তার মক্কেল দেশেই ছিলেন।
আবজালের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম বলেন, কাগজপত্র দেখার পর তাকে জিজ্ঞেস করেছি এতোদিন পর কেন আপনি আত্মসমর্পমণ করেছেন এবং কোথায় ছিলেন। তখন তিনি জানিয়েছেন তিনি দেশেই ছিলেন, যদিও তার পাসপোর্ট আমি দেখেনি।
তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ধারণা, আবজাল জামিন হবে মনে করেই আদালতে এসেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পার পাননি। রিমান্ডে আনা হলে তার বিষয়ে আরো তথ্য পাওয়া যাবে।
দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, সে যে বিদেশে গেছে এমন কোন তথ্য ইমিগ্রেশন আমাদের দেয়নি। আর সে যদি দেশেই থাকে তাহলে এতোদিন কে তাকে আশ্রয় দিয়েছে তা আমাদের জানতে হবে। বিদেশ গেলেও সেই তথ্য আমাদের সংগ্রহ করতে হবে। এসব তথ্য জানার জন্য আমাদের তদন্ত কর্মকর্তা তার দশদিনের রিমান্ড চেয়েছে।
এদিকে দিন যতই যাচ্ছে, দেশের বাইরে আবজালের সম্পদের তথ্যও পাচ্ছে দুদক। এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং মালয়েশিয়ার তার সম্পদের প্রাথমিক কিছু তথ্য পেয়েছে দুদক।
No comments:
Post a Comment