সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া বাইকার ফারহানার হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল শোডাউনের ঘটনায় দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে যাত্রী অধিকার আন্দোলন। আজ বুধবার সংগঠনটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেতনতায় কাজ করা সংগঠন যাত্রী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল ও যুগ্ম আহ্বায়ক অন্তু মুজাহিদ।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সম্প্রতি এক নারীর নেতৃত্বে মোটরসাইকেল শোডাউনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা উঠে এসেছে জাতীয় গণমাধ্যমেও। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ফারজানা ইসলাম নামে যশোরের ওই নারী গত ১৩ আগস্ট প্রথা ভেঙে মোটরসাইকেল শোডাউন করে নিজের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
যাত্রী অধিকার আন্দোলনের নেতারা বলেন, আমরা নারীর স্বাধীনতা ও অগ্রযাত্রায় বিশ্বাসী। আমরা চাই সমাজের নারী পুরুষ উভয়ে সমান গতিতে এগিয়ে যাক। এবং এ ঘটনাকে নারীর অগ্রযাত্রার মাইলফলক বলেও আমরা মনে করি। কিন্তু ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে শোডাউনে অংশ নেয়া কারো মাথায় হেলমেট না থাকার বিষয়টি আমাদের আতঙ্কিত করেছে।
নেতারা মনে করছে, ছড়িয়ে পড়া এ ভিডিও এবং স্থিরচিত্র যারা দেখছেন তারা ট্রাফিক আইন অমান্যে উৎসাহিত হচ্ছেন। এ ছবিতে দেশে যে ট্রাফিক আইনের বাস্তবায়ন নেই সে চিত্র ফুটে উঠেছে।
এ ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবি করে বলা হয়, হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল শোডাউনের ঘটনায় দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে প্রশাসন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এবং গণমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালাবে।
এছাড়া অনেকে দাবী করেছে বাইকার লেডির বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইন ও সাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন এর জন্য মামলা হওয়া উচিৎনিচের সবগুলো আইন তিনি এবং তার দল অমান্য ও অগ্রাহ্য করেছেনঃ
ক.ট্রাফিক :
১.হেলমেট নাই
২.ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই
৩.অযথা যানযট সৃষ্টি
৪.রং সাইডে গাড়ি চালানো
৫.অহেতুক হর্ণ বাজানো
খ.সাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন ও অন্যান্য:
১.মাস্ক নাই
২.হ্যান্ড গ্লাভস নাই
৩.সামাজিক দূরত্ব নাই
৪.সামাজিক রীতিনীতি ভঙ্গ
২০১৮ সালে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন প্রণয়ন করা হয়। এ আইন লঙ্ঘন করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে।
আদেশে বলা হয়, ‘বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে সবসময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, অন্যথায় নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ১৯ নং আইন) এর ধারা ২৪ (১), (২) ও ধারা ২৫ (১) (ক, খ) এবং ধারা ২৫ (২) অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মাস্ক পরিধান না করা ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে অথবা জেল দেওয়া হবে ৬ মাসের। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার আশংকাও রয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধির অন্য যে কোনো একটি না মানলে দেওয়া হবে ৩ মাসের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। এক্ষেত্রেও উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
লও ঠেলা।
ReplyDelete