দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সি-মি-উই-৫) জটিলতায় ইন্টারনেটের গতি কমে গেছে বলে জানিয়েছে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)।
পটুয়াখালীতে সাবমেরিন ক্যাবল-২-এর ল্যান্ডিং স্টেশনের প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে রোববার সকাল ১১টার দিকে পাওয়ার ক্যাবল কাটা পড়ে। তারপর থেকে দেশে ইন্টারনেটের গতি অর্ধেকে নেমে গেছে।
বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, পটুয়াখালীতে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা হয়েছে। মেরামতের কাজ চলছে। আজকের মধ্যে সমাধান হবে বলে আশা করছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার সকাল ১১টার দিকে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের পাওয়ার ক্যাবল কাটা পড়ে। এর ফলে রিপিটারে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হওয়ার কারণে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সূত্র জানায়, মূলত এখানে বালু উত্তোলনের কাজ করার সময় পাওয়ার কেবল কেটে ফেলে বালু উত্তোলনে নিয়োজিতরা। খবর পেয়ে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির কারিগরি দল দুপুর একটা থেকে মেরামত কাজ শুরু করে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে মেরামত কাজে বেশ সমস্যা পোহাতে হয়।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি’র সভাপতি আমিনুল ইসলাম হাকিম সমকালকে বলেন, দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে সরবরাহ বন্ধ হওয়ার পর প্রথম সাবমেরিন কেবল (সিই-সিই-উই-৪) এবং আইটিসি (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্টিরিয়াল ক্যাবল) থেকে পাওয়া ব্যান্ডউইথ দিয়ে গ্রাহক সেবা চালু রাখা হয়েছে। তবে ব্যান্ডউইথ সরবরাহের বড় উৎস বন্ধ হওয়ার কারণে অন্য দু’টি উৎস থেকে পর্যাপ্ত ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে সাধারণ গতির চেয়ে গ্রাহকরা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ কম পাচ্ছেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে রাষ্ট্রায়াত্ত কোম্পানি বিএসসিসিএল-এর মাধ্যমে দু’টি সাবমেরিন ক্যাবল এবং ছয়টি আইটিসি কোম্পানির মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পাওয়া যায়। কভিড-১৯ মহামারি শুরুর পর ব্যান্ডউইথের চাহিদা আগের চেয়ে প্রায় ৫০০ জিবিপিএস বেড়েছে।
আইএসপিএববি’র সভাপতির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাসে যেখানে দেশে ১ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হতো, সেখানে গত জুলাই মাসের শেষে প্রায় ১ হাজার ৭০০ জিবিপিএস এর বেশি ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৮০০ জিবিপিএস এর বেশি দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে আসছে। তিনি জানান, বর্তমানে ব্যান্ডউইথের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে।
No comments:
Post a Comment