শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে সংঘর্ষ নয়, কর্মকর্তারা পিটিয়ে হত্যা করেছে তিন কিশোরকে
যশোরের পুলেরহাট শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কোন সংঘর্ষ নয়,দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকতৃারাই পৈশাচিকভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে তিন কিশোরকে। এ সময় আহত হয়েছে কমপক্ষে আরো ২৫/৩০জন। তাদেরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হরা হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার জানান, আহতদের মধ্যে চার জনের অবস্থা গুরুত্বর। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে খুলনা রেঞ্জর অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম জানান, একপক্ষের হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোররা জানান, গত ৩ আগষ্ট ঈদের ছুটি চলাকালিন সময়ে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রর প্রধান নিরাপত্তাক্ষী নুরুল ইসলামের সাথে কয়েকজন কিশোরের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এমনকি নুরুল ইসলামকে কয়েজন মারপিটও করে। এরজন্য কয়েকজন কতৃপক্ষের কাছে ক্ষমাও প্রর্থনা করে। কিন্তু তাদের এই ক্ষমা প্রর্থনায় কোন কাজ হয়নি।
আহত কিশোর পাভেল , হৃদয়, সাব্বিার , নাঈম, ইশান জানায়, বৃহস্পতিবার কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারি তত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহর নেতৃত্বে ১০/১২ জন কিশোরদেরকে ডরমেটরি থেকে একে একে ডেকে নিয়ে মুখ, হাত পা কাপড় দিয়ে বেধে পেটানো হয়। যতক্ষন না জ্ঞান হারিয়েছে ততক্ষন পেটানো হয়েছে। জ্ঞান ফিরলে আবার দ্বিতীয় দফাও কয়েকজনকে পেটানো হয় বলে আহত কিশোররা জানায়। এই সময়ই প্রথমে নাঈম শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ভেতরে মারা যায়। এরপর অচেতন অবস্থায় পারভেজ ও রাসেলকে হাসপাতালে আনার পথে তারাও মারা যায়।
খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম জানান, নাঈম মারা যাওয়ার পরই শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র কতৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে জানায়। এরপর পুলিশ দ্রুত পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পারভেজ ও রাসেলকে পুলিশই উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাকি ১৪জনকে হাসপাতালে আনে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, একপক্ষের হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটনা দেরিতে জানতে পেরেছেন।
এদিকে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
এ ঘটনার সুষ্টু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মুলক ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
No comments:
Post a Comment