প্রেমিকের ওপর অভিমান করে যশোর শহরের দড়াটানায় ভৈরব নদের পাড়ে দাঁড়িয়ে ইঁদুর মারার ওষুধ পান করেছিলেন বর্তমানে মেহেরপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত নায়েক (নম্বর-৯৯) ফারজানা আক্তার (২৭)। কিন্তু দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি বেঁচে যান।
তবে ফারজানা ও তার প্রেমিক যশোর পুলিশ লাইনে কর্মরত নায়েক (নম্বর-২১১২) আসিফ জামানের (২৪) বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। আত্মহত্যার উদ্যোগ ও সহায়তার অপরাধে থানার এসআই মোখলেছুজ্জামান মামলাটি করেন। তাদের দুইজনকে আটক করে রোববার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ফারজানা ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পাতিবিলা গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে। তিনি বিবাহিত। বর্তমানে মেহেরপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত। আর আসিফ জামান ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার রতনপুর গ্রামের জাহির রায়হানের ছেলে। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত ১৫ জুলাই বিকেলে ফারজানা মেহেরপুর থেকে যশোরের পালবাড়িতে এসে আসিফের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে ফারাজানা শহরের দড়াটানার দিকে চলে আসেন এবং ফুটপাত থেকে ইঁদুর মারার ওষুধ কিনে ভৈরব পাড়ের নতুন রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে তা পান করেন। এরপর মোবাইল ফোনে তা আসিফকে জানান। সঙ্গে সঙ্গে আসিফ ভৈরবপাড়ে এসে অসুস্থ ফারজানাকে দেখতে পান এবং অদূরে অবস্থিত জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
এসআই মোখলেছুজ্জামান জানিয়েছেন, একজন পুলিশ সদস্য কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন- এমন সংবাদ পেয়ে তিনি হাসপাতালে যান এবং সেখানে গিয়ে ফারজানাকে চিকিৎসারত দেখতে পান। তার পাশে ছিলেন ফারজানার বাবা, মা ও তার স্বামী খবির মণ্ডল। পরে তিনি হাসপাতালে রেজিস্ট্রার পর্যালোচনা করে দেখেন ভর্তির সময় ফারজানার স্বামীর স্থানে আসিফের নাম রয়েছে। গত ১৮ জুলাই ফারজানা সুস্থ হলে তাকে আটক করা হয় এবং আসিফকেও আটক করে থানায় নেওয়া হয়। তারা দুইজনই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্য। শনিবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর রোববার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূ্ত্রে জানা গেছে, ফারজানা সাত বছর হলো পুলিশে চাকরি করছেন। ছয় বছর আগে নড়াইলে তার বিয়ে হয়। স্বামী খবির মণ্ডল বালির ব্যবসা করেন। তাদের কোনো সন্তান নেই।
আর আসিফ চার বছর হলো পুলিশে চাকরি করছেন। দুই আড়াই বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ১৫ জুলাই ফারজানা মেহেরপুর থেকে নড়াইলে যাচ্ছিলেন। পথে প্রেমিক আসিফের সঙ্গে দেখা করার জন্য পালবাড়ি মোড়ে বিরতি নেন। সেখানেই আসিফের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। আসিফ চলে যান। আর ফারজানা শহরের দড়াটানায় এসে ইঁদুর মারার ওষুধ কিনে তা সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
ইস কি কস্ট😥
ReplyDelete