এদিকে, সরকারি ওয়েবসাইটে লকডাউন সংক্রান্ত তথ্য হালনাগাদ না করায় বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। মহামারীর সময় নির্ভুল তথ্যপ্রবাহ অন্য সব কিছুর মতই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
আইইডিসিআর জানাচ্ছে পরীক্ষামূলকভাবে দু'একদিনের ভিতর ঢাকার ওয়ারী ও রাজাবাজার এলাকাকে রেডজোন ধরে লকডাউন করা হবে। তবে, সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা অনুযায়ী গ্রিন, ইয়োলো ও রেড জোনে ভাগ করা হলেও, ঢাকা ও পুরো দেশের জন্য মানদণ্ড হবে আলাদা।
জানানো হয়, কোনো এলাকায় যদি প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৩০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় তাহলে ওই এলাকা রেড জোনে অবস্থান করবে। ৩ থেকে ২৯ পর্যন্ত হবে ইয়েলো জোন। অন্য সব এলাকা গ্রিন জোন। ঢাকার বাইরে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে কোন এলাকায় ১ লাখের মধ্যে ১০ জন তার বেশি করোনা রোগী থাকলে সেই এলাকাও রেড জোনের আওতায় ধরা হবে। ৩ থেকে ৯ পর্যন্ত ইয়েলো জোন। অন্য সব এলাকা গ্রিন জোন।
সব চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জন্য থাকবে বিশেষ বিধি নিষেধ । বাস্তবায়নে আশ্রয় নেয়া হবে প্রযুক্তির। রেডজোন থেকে কেউ বের হলে কিংবা সেখানে কেউ ঢুকলে মোবাইলে চলে যাবে সতর্ক বার্তা।
জানানো হয়, রেড জোনের মানুষ বাসা থেকে বের হবেন না। নতুন কোনো মানুষ ওই এলাকায় ঢুকবেন না। এখানকার মানুষের ঢোকা-বেরোনো মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ট্র্যাক করা হবে। চেষ্টা করা হচ্ছে ই কমার্স বা অন্য কোনো ভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহের ব্যবস্থা করা যায় কিনা। গণপরিবহনের কোনো স্টপেজ থাকবে না।
এদিকে, করোনা মহামারীর জন্য নিবেদিত CORONA.GOV.BD ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত লকডাউন সংক্রান্ত তথ্য হালনাগাদ না করায় সৃষ্টি হচ্ছে বিভ্রান্তি। মহামারীর সময় নির্ভুল তথ্যপ্রবাহ অন্য সব কিছুর মতই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেন, মহামারির সময় মানুষ খাদ্য এবং সঠিক তথ্য ছাড়া আর কিছুই চায় না। এ দুটো পেলেই মানুষ অনেকদিন বেঁচে থাকতে পারে। এটা যদি মানুষকে ঠিকভাবে জানানো না হয়, দেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
এলাকাভিত্তিক বিধিনিষেধ আরোপের প্রস্তাব এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জোন যাই হোক মাস্ক পড়া ও সামাজিক দূরত্ব মানা বাধ্যতামূলক থাকছে সবখানেই।
No comments:
Post a Comment