আসিফ সোহান সন্দেহভাজন করোনা রুগি করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে তার অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে এভাবে-
" গত এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখ থেকে মুলত আমার ঠান্ডা, খুশখুশে কাশি শুকনো কফ, গলাব্যাথা,গা ব্যাথা,মাথাব্যাথা শুরু হয়,এবং যেহেতু হসপিটাল এ যেয়েও ডাক্তার দেখানো পছিবল না,তাই ফেসবুকে ২-৪ জন ডাক্তার বড়ভাইয়েদের থেকে পরামর্শ নিয়ে নাপা,ফেক্সো-১২০,ডোকাপো ওষুধ গ্রহণ করা শুরু করি।কিন্তু কোন ফলপ্রসু রেজাল্ট পাই না।এর মধ্যে মাঝে মাঝেই বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্টের মত উপসর্গ লক্ষ্য করি,ততদিন প্রায় মে মাসের ১তারিখ পড়ে গেছে আমি আইডিসিআর এর ওয়েবসাইটে যাই এবং তাদের আ্যপে তথাবথিত ওয়েব টেস্ট করাই এবং তারা ফলাফল দেই। আমি উচ্চ ঝুঁকিতে আছি,যতদ্রুত সম্ভব হাসপাতালে যেয়ে যেন টেস্ট করিয়ে নেই। তো সে মোতাবেক আমি ১ তারিখেই সদর হাসপাতালে ইর্মাজেনিসতে যাই প্রথমত, কিন্তু সেখান থেকে আমাকে বাইরে করোনা বুথে পাঠিয়ে দেই সেখানে গিয়ে দেখতে পায় কজনের স্যম্পল কালেকশন এর কাজ চলছে কিন্তু তথ্য সরবরাহ করার মত কেউ নেই,তখন আমি নিরুপায় হয়ে যারা স্যম্পল দিচ্ছেন তাদের থেকে জানতে পারি যে স্যম্পল দেওয়ার পুর্বে আগে ডাক্তার দেখাতে হয় বা সিরিয়াল দিতে হয়,তো আমাকে পরদিন ১১টায় যেতে,কিন্তু পরদিন যেয়ে দেখি ডাক্তার নাই চলে গেছেন যদিও তার থাকার কথা ১২টা পর্যন্ত।এর পর আমায় বুথ থেকে বলে আপনি পরদিন ৯-১২ টার মধ্যে আসুন দেখি কি করা যায়,তো আমি বাসায় এসে এসব নানা অসঙ্গতি বিষয় ডিসি বরাবর জানাই,এবং পরে আমায় এডিসি কল করে ২-৩ দিন দেখতে বলে বিষয়টা আমি এর আগে Iedcr এ কথা বলে তারা কিছু ট্রিটমেন্ট দেই যেমন গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা,চা খাপয়া ও ফেক্সো খাওয়া,এজন্য আমি এডিসিকে বলি যে স্যার তাহলে আর ২-৩ দিন দেখি,শুধু শুধু একটা কিট নষ্ট করে লাভ নাই।তো এভাবে ৪দিনের মাথায় হঠাৎ করেই আমার বুকে ভীষণ ব্যাথা অনুভব হয় ও তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়,আমি প্রথমেই এডিসিকে কল দেই কিন্তু রেসপন্স না পাওয়ায় আমি সরাসরি চলে যাই সদরে,যেয়ে দেখি আজো ডাক্তার নাই,দুজন অশিক্ষিত বসে আরাম করে ফ্যানের বাতাস খাচ্ছে,তাদের কোন রোগীর প্রতি ভ্রুখেপই নাই,ডাক্তার কখন আসবে জানতে চাইলে তারা ঠিক মত বলতে পারে না,এরপর ডাক্তার পেলাম ১০.৩০ টার পর আবার এসে,তারা আমার সব শুনে আমায় বললো আজ নাকি তাদের টেস্ট নেওয়ার লিমিট শেষ হয়ে গেছে বিধায় আগামীকাল আবার আসুন,কিন্তু কোন ওষুধ বা কোন ট্রিটমেন্ট দিলো না,সুতরাং আমি পরদিন আবার গেলাম তারা আমার বিভিন্ন বিষয় জেনে অবশেষে টেস্ট নিতে রাজি হলো,আবার দুপুর ১২টায় আসতে বললো,আমি আবার দুপুর ১২টায় গেলাম কিন্তু যারা স্যম্পল নিবে তাদের কোন খবর নাই,আমার মত ভুক্তভোগী আর ৪-৫ জন ছিলো এদের মধ্য ২জন এমন ছিলো যারা গতদিন কিট সল্পতার কারনে আজ আবার আসতে বাধ্য হয়েছে স্যম্পল দিতে আসতে।অবশেষে প্রায় ৪৫মিনিট পর ২জন আসে স্যম্পল কালেকশন এর জন্য,কিন্তু সুস্থ কোন ব্যবস্থা নাই এক কথায়,কেননা যে চেয়ারে আক্রান্ত রোগীও স্যম্পল দিচ্চে সেই একই চেয়ারে বসেই জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার না করেই সন্দেহভাজন রোগীরও স্যম্পল নিচ্ছে, মানে আপনি আক্রান্ত না হলেও এখান থেকে নিঃভাবনায় ভাইরাস সাথে করে নিয়ে যেতে সক্ষম,এদের মধ্য অনেক রোগীই ময়লা মাস্ক পড়ে আসে,মাক্স খুলে কাশি দেই,কফ আসলে ফালায় যত্রতত্র,মানে যাচ্ছে তাই একটা অবস্থা,এদিকে এসব তথ্য নিয়ে সেখানে ঘুরতে থাকা সাংবাদিকগন রিপোর্ট করবে যাতে জনগন আরো বেশী সচেতন হতে পারে তাদের তার কোন ভ্রুক্ষেপই নাই।একথায় বলতে খুব আপনি টেস্টের নামে দেহে ভাইরাস আনতেই সদরে যাচ্ছেন।আমার মতে স্যম্পল কালেকশনের সিস্টেম এ পরিবর্তন আনা দরকার খুবই শীগ্রই।নাহলে সন্দেহভাজনরা আক্রান্ত হতে হতে মহামারী শুরু হয়ে যাবে,যা পরবর্তীতে ঠেকানো দুঃ সাধ্য হবে।আমি গত ডিসেম্বর থেকেই এই ভাইরাসের সকল নিউজ ফলোআপে রেখেছি,সে অভিজ্ঞতা থেকেই এই কথা বললাম,এখনো খুব বেশী দেরি হয়নি আমাদের প্রচুর টেস্ট করা শুরু করতে হবে এবং অবশ্যই সেটা সুব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হতে হবে।আর সবথেকে বড় বিষয় যেটা চীন,ইউরোপের মানুষের সাথে আমাদের শারীরিক গঠন,আবহাওয়া,খাদ্যাঅভ্যাস মিলে না তাই এই রোগের লক্ষনগুলোও যে তাদের সাথে মিলবে,আর সেই মিল ধরেই রোগী সন্তাকের এই ফরমালিটি বাদ দিতে হবে,কেননা ইতিমধ্যেই দেখা আমাদের দেশের ১৫হাজারের মধ্যে ৩৫০০ জনের কোন ধরনের উপসর্গই নাই,তাই এই পন্থা বাদ না দিতে পারলে অবশ্যই ভয়াবহ বিপদ সামনে অপেক্ষা করছে।২ দিন হয়ে গেল আমি স্যম্পল দিয়ে আসছি অথচ কোন কল বা এসএমএস আমাকে দেওয়া হয়নি,তারা ২টা সেল নাম্বার রেখেছে,দেশ কীভাবে ডিজিটাল হলো আমার বোধগম্য হয় না।"
Post Top Ad
as
a1
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post Bottom Ad
Author Details
সবার আগে সত্য নির্ভীক সংবাদ প্রচার করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ ।
No comments:
Post a Comment