যশোরে ভেজাল বা বিষাক্ত মদপানে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় আরো দুইজনকে আটক। - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

as

a1

Monday, April 27, 2020

যশোরে ভেজাল বা বিষাক্ত মদপানে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় আরো দুইজনকে আটক।

যশোরে ভেজাল বা বিষাক্ত মদপানে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় রুজু হওয়া মামলায় পুলিশ আরো দুইজনকে আটক করেছে। বেআইনি মদের দোকানের মালিক গ্রেফতার হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিন ও পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে দুটি মামলায় জামিনও হয় তার।
মদকাণ্ডে নতুন আটক দুইজন হলেন, শহরের লালদীঘির পাড় এলাকার আব্দুল জলিল শেখের ছেলে আমির হোসেন বাবু এবং হাটখোলা রোড সরদার মার্কেটের মহিউদ্দিন শেখের ছেলে আব্দুল খোকন শেখ। কোতয়ালী থানায় দায়ের করা ৪৩ নম্বর মামলায় বাবুকে এবং ৬৪ নম্বর মামলায় খোকন শেখকে গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। এই মামলায় আগেই মদ বিক্রেতা মাহমুদ হাসান এবং সাজুকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল।
এদিকে ভেজাল মদ পানে আর কোনো মৃত্যুর সংবাদ না এলেও বেশ কয়েকজন অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট নানা সূত্রে জানা যাচ্ছে।
যশোর সদর আদালতের এএসআই রকিব উদ্দিন সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) কামরুজ্জামানের উদ্ধৃতি দিয়ে  বলেন, আসামি হাসান, বাবু ও খোকনের বিরুদ্ধে দায়ের করা পাঁচটি মামলার মধ্যে ৪৩ নম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারুনর রশিদ। আর ৪৬ নম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাইয়ুম মুন্সি। এই মামলা দুটির দুই তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের সাতদিন ও পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মঞ্জুরুর ইসলাম রিমান্ড নামঞ্জুর করেন এবং বাকি তিনটি মামলায় তাদের জেলহাজতে পাঠান।
৪৩ নম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারুনর রশিদ বলেন, আদালত রিমান্ড মঞ্জুর না করলেও হাসান আদালতে আগেই ১৬৪ ধরায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ তাজ হোসেন তাজু সুবর্ণভূমিকে বলেন, হাসানের বিরুদ্ধে যে পাঁচটি মামলা হয়েছে, সেগুলো সবই জামিনযোগ্য ধারা। তাছাড়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেস ডকেট (সিডি) ছাড়াই আসামির রিমান্ডের আবেদন করেছেন। সে কারণে হয়তো বিচারক রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।
ভেজাল বা বিষাক্ত মদ পান করে গত কয়েকদিনে যশোর শহর ও শহরতলী, চৌগাছা এবং মণিরামপুরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। এই মদের অবৈধ কারবারি হাসানের দোকানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছেন।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad